নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর ভেলানগর এলাকার বাসিন্দা ১৪ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত আশিক দেওয়ান শান্তর টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার ওই কিশোরী শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকালে বোনের বাড়ি বেড়ানো শেষে শান্ত’র সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চরসিন্দুর ব্রিজে ঘুরতে যায়।
সেখানে ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যা হয়ে গেলে তারা চলনা গ্রামে শান্ত’র বন্ধু দিনার কাজীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখানে দুই বন্ধু পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে গেলে শান্ত কিশোরীকে শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের দেখে সন্দেহ হলে চিকিৎসক নরসিংদী সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে থানায় নিয়ে অভিভাবকদের জানানো হয়। আর বিষয়টি পলাশ থানার ঘটনা হওয়ায় তাদের পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, সকালে দুইজন যুবক এক কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন তারা জানায় কিশোরীটি বিষ খেয়েছে। ওদের আচরণে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় কিশোরীর সঙ্গে আলাদা কথা বললে সে ধর্ষণের কথা জানায়। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সঙ্গে থাকা একজনকে আটক করে আর কিশোরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। এখন মেডিকেল পরীক্ষার পর বিষয়টি উদঘাটন করা যাবে।
পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। এ কারণে অভিযুক্ত শান্তকে আটক করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগীকে আগামীকাল (রবিবার) মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছে, মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।